তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১ আগষ্ট) বিকেল ৬ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম ভুঁইয়া শাহীন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিন এর সভাপতিত্বে ও হাজী গোলাম হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কুতুব উদ্দিন আহমদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা মনোনিতা দাস, তাড়াইল উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল হাই, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস সুলতানা, তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন সরকার, বাংলাদেশ আ’লীগ তাড়াইল উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন সিরাজী, উপজেলার রাউতি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন তারেক, জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চান মিয়া, মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুবনা শারমিন জানান, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রেরিত ১০৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ ও স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়েছে। এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে মুক্তিযোগ্ধাগণ সকল সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রধান অতিথি জাতীয় পার্টির মহাসচিব কিশোরগঞ্জ-৩ (তাড়াইল-করিমগঞ্জ) আসনের সাংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, আমরা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানতে পেরেছি, ডিজিটাল সনদ ও পরিচয়পত্র যাতে কেউ জাল করতে না পারে, সে জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল সনদে ১৪ ধরনের এবং পরিচয়পত্রে ১২ ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গুগলে গিয়ে ‘ফ্রিডম ফাইটার ভেরিফায়ার’ অ্যাপের মাধ্যমে এই সনদ ও পরিচয়পত্রে ইউনিক নম্বর আপ করলে প্রথমেই ৩০ সেকেন্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও জাতীয় সংগীত শোনা যাবে। এতে আরও রয়েছে থ্রিডি লোগো, দুটি করে কিউআর কোড, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ফুল শাপলার অ্যাম্বুশ করা শ্যাডো, বীর মুক্তিযোদ্ধার পৃথক তথ্যকণিকা, ইস্যুকারী মন্ত্রী ও সচিবের স্বাক্ষর, ওয়াটার মার্ক, জয় বাংলা ও জয় বঙ্গবন্ধুসহ নানা ধরনের নির্ধারিত আল্টামার্ক। যার অনেক কিছু খালি চোখে দেখা যাবে না। এই সনদ ও পরিচয়পত্র ফটোকপি করা হলে ওই কপিতে অসংখ্যবার কপি বলে উল্লেখ থাকবে, এটিও খালি চোখে দেখা যাবে না। মন্ত্রণালয়-সংশ্নিষ্টরা বলছেন, এগুলো জাল করার সুযোগ নেই।